রাশিয়ায় একটি কয়লাখনিতে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির সাইবেরিয়ার কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। গত এক দশকের মধ্যে রাশিয়ায় এটিই সবচেয়ে বড় খনি দুর্ঘটনা।
বিবিসি জানিয়েছে, তুষারাচ্ছন্ন কেমেরোভো অঞ্চলের লিস্টভ্যাজনায়া খনির বায়ু চলাচলের স্থানে কয়লার ধূলিকণায় আগুন ধরে যায়। এর ফলে খনিটি ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জন নিহতের কথা জানানো হয়। পরে তথ্য সংশোধন করে নিহতের সংখ্যা ৫২ বলে জানানো হয়।
এছাড়া খনিতে আগুন ধরে যাওয়ার সময় আরও বহু মানুষ খনির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে রাশিয়ার জরুরি বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র একটি বার্তাসংস্থাকে জানিয়েছেন যে, কয়লাখনিতে দুর্ঘটনার পর সেখানে কেউই আর জীবিত নেই।
দেশটির জরুরি সেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, খনির ভেতরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৮৫ জনের মতো কর্মী সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে কী কারণে এই ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি মন্ত্রণালয়।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, কয়লাখনি থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের এই অঞ্চলের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী এবং অ্যাম্বুলেন্স ছুটছে। ব্যাপক তুষারপাত হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের খনির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।