ফুটপাত দখল ও লাইন্সেস বিহীন অবৈধভাবে ব্যবসা করায় মোংলা পৌর শহরের ১১ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া রিজেকশন গলিতে পৌরসভার গণশৌচাগারের রাস্তা আটকে ভাই ভাই ট্রেনিং সেন্টার খুলে বসায় সেই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারের
নেতৃত্বে এই অভিযান চলে।
ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন,।পৌরসভার গন শৌচাগারের রাস্তা আটকে একটি ট্রেনিং সেন্টার খুলে বসেছেন জনৈক প্রশান্ত মন্ডল শান্ত। অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যান। পরে তার প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয় বলেও ইউএনও জানান।
এদিকে অভিযানে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক দখলমুক্ত রাখার পাশাপাশি শহরের সৌন্দর্য রক্ষা ও জনগনের শান্তিপূর্ণ চলাচলে অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেন ভ্রম্যমান আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই সাথে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে অর্থদন্ড করা হয়।
পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডে লাইন্সেস বিহীন করাত মিলের মালিক মোঃ জসিম ও মোঃ রাসেল, ইট ব্যবসায়ী মোঃ মোশারেফ, ইব্রাহিম, সালাম, রাজ্জাক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরির অপরাধে চৌধুরী মোড়ের বনফুল মিষ্টি ঘর এবং বাজারের ভেতরে ড্রেনের ওপর চাল রেখে ব্যবসা করায় শাহ আলম, আল মামুন, রহিম ও ইসমাইলকে ২৮ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার।
এসব অভিযান পরিচালনার সময় পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, সচিব অমল কৃষ্ঞ রায়, কর কালেক্টর মোঃ মহাসিন, স্যানিটারী সুপারভাইজার মোঃ বাদল, কার্য সহকারী এরশাদ হোসেন রনি ও মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী ফাহিম হাসান অন্তর উপস্থিত ছিলেন।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান ও ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, পৌর শহর সুশৃঙ্খল ও সুন্দর রাখতে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এই অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।