রূপসা নদীর তীরে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বটিয়াঘাটার মাথাভাঙ্গা ও খোলাবাড়িয়া মৌজা পছন্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে উল্লিখিত স্থান পছন্দ করেছেন। খুলনায় সরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একশ’ একর জমির প্রয়োজন হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ দু’টি মৌজার জমি পছন্দের কথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। গত ২৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূরসহ কর্মকর্তারা স্থানটি পরিদর্শন করেন।
নগরীর স্থানীয় হোটেলের আলোচনায় সচিব বলেন, সরকার দ্রুততার সাথে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ করেছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে উন্নতমান, গবেষণার সুযোগ ও উন্নত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে।
খুলনার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (এলএ) মো: মারুফুল আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, সচিবের খুলনা সফরের পর উল্লিখিত দু’টি মৌজা পছন্দের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। খুলনার এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২০ নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়। এরপর মন্ত্রিসভা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা আইন ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
জাতীয় সংসদ গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনে অনুমোদন দেয়।
বিশেষজ্ঞ গবেষক তৈরি করার লক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খুলনা বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাই এর উদ্দেশ্য। এটা প্রতিষ্ঠিত হলে খুলনাঞ্চলের সব মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসবে।
২০১৯ সালের ২১ জুলাই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করতে খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। তিনি ১৯ আগস্ট লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাবনা দেন। প্রস্তাবনাটি অনুমোদনের পর ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে নির্দেশনা দেয়া হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই