খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় ৪০ বছরেও গড়ে ওঠেনি বাস টার্মিনাল

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি

৪০ বছরেও গড়ে ওঠেনি স্থায়ী বাস টার্মিনাল মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা দুই উপজেলার বাস ষ্টেশনে। ফলে স্থানীয় ও দূরপাল্লার শত শত যাত্রীবাহী বাস পার্কিং করতে হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর। সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্কিং করায় অন্যান্য যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থায়ী বাস টার্মিনালের দাবিতে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও পরিবহন কাউন্টার পরিচালকরা জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুন্দরবন ঘেঁষা জেলার সর্বশেষ এই জনপদে ৮০’র দশক থেকে শুরু হয় স্থানীয় রুটের বাস ও সাধারণ যান চলাচল। প্রথম দিকে দূরপাল্লার দু-একটি পরিবহন পরীক্ষামূলকভাবে চলা শুরু করে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পর ব্যাপকভাবে শুরু হয় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল।

বর্তমানে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ থেকে সরাসরি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, বেনাপোল ও জেলা সদরে অর্ধশত পরিবহন চলাচল করছে। কিন্তু দুই উপজেলায় বাস স্টেশনে টার্মিনাল না থাকায় যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মারাত্মক বিড়ম্বনা দেখা দেয়।

শরণখোলার রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ডের ফালগুনী পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. গুলজার হাওলাদার জানান, বর্তমানে দূরপাল্লার দিবা ও নৈশকালীন ৪০ থেকে ৫০টি পরিবহন চলছে। এসব পরিবহন যাত্রী নামানোর পর গাড়িগুলো সড়কের ওপর ও আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে পার্কিং করে রাখতে হচ্ছে। রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট থাকলেও টার্মিনাল ও যাত্রী ছাউনি নেই মোড়েলগঞ্জে এর কোনটাই নেই। আগে স্ট্যান্ডের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি ডোবা ভরাট করে পরিবহনগুলো রাখা হতো। কিন্তু সেখান থেকে বেড়িবাঁধ হওয়ার কারণে সেই জায়গাটি আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

এ সর্ম্পকে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ-মোংলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ জানান, দুই উপজেলার বাস স্ট্যান্ডে স্থায়ী বাস টার্মিনাল করার জন্য স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক বরাবরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। বর্তমানে বাসগুলো সড়কের ওপরে পার্কিং করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এতে নানামুখী দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষের।

বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মহাসড়ক দখল করে কোনো স্থাপনা বা গাড়ি পার্কিং সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা শিগগিরই এসব উচ্ছেদে অভিযান শুরু করবো।

এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, বাস টার্মিনাল করার জন্য যে পরিমাণ জমির প্রয়োজন স্ট্যান্ডের কাছাকাছি এমন জায়গা নেই। বাস টার্মিনাল না থাকায় পরিবহন পার্কিং ও যাত্রীদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। বহু চেষ্টা করেও জায়গা পাওয়া যায়নি। এটা খুবই ব্যয়বহুল বিষয়। এখন সরকারি বড় ধরণের প্রকল্প গ্রহণ ছাড়া স্থানীয়ভাবে করা অসম্ভব।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!