শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেছেন, আইভি রহমান বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী ছিলেন। তার পুরো নাম জেবুন্নাহার আইভি। মুক্তিযুদ্ধ এবং সমাজসেবায় অনন্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখার জন্য তিনি স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় শেখ মুজিবর রহমানের নীতি ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ভারতে অস্ত্র চালনা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি জয়বাংলা রেডিওতে নিয়মিত কথিকা পাঠ করতেন।
১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে আসীন ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ আওামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি পুণঃগঠনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ সমিতির সভানেত্রী ও জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি একাধারে মহিলা সংস্থা ও জাতীয় মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আইভি রহমান সব সময় মাঠে থাকতেন। তিনি জনসাধারণের পাশে থাকতেন। যেকোনো সভায় তিনি শ্রমিকের সাথে বসে থাকতেন। কারণ তার মধ্যে কোনো অহমিকা ছিল না। এত ভালো একজন মানুষের এমন বিভৎস মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।
গতকাল ২৪ আগষ্ট সোমবার বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জেবুন্নাহার আইভি রহমানের ১৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর স্মরণ সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, নুর ইসলাম বন্দ, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, এ্যাড. সেলিনা আক্তার পিয়া, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, পারভেজ হাওলাদার, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।
সভা পরিচালনা করেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মোঃ শেখ শহিদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাকসুদ আলম খাজা, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, এ্যাড. রবিন্দ্র নাথ মন্ডল, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, অসিত বরণ বিশ্বাস, কাউন্সিলর লুৎফুন নেছা লুৎফা, মোতালেব মিয়া, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ মো. আবু হানিফ, মোল্লা মজিবর রহমান, মো. ইমরান হোসেন, চ. ম. মুজিবর রহমান, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, জিয়াউল আলম খান খোকন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, নূরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, এস এম আকিল উদ্দিন, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, নজরুল ইসলাম দুলু, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, হাফেজ আব্দুর রহিম, শরীফ মোত্তুজা, আসাদুজ্জামান মুন্না, অজিত বিশ্বাস, জামিল খান, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, শিকদার ফারুক হোসেন তুরান, মো. শহিদুল হাসান, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, বিধান চন্দ্র রায়, মৃনাল কান্তি রায়, ইখতিয়ার মোল্লা, মাহামুদুর রহমান রাজেস, শংকর সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/নাফি