সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রয়াত স্ত্রী জাহানারার নামে পাবনার পাড় ঘোড়াদহতে বেশ আগেই একটি উচ্চবিদ্যালয় স্থাপন করেছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। বর্তমানে উচ্চবিদ্যালয়টিকে কলেজে রূপান্তর করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। মজার বিষয় হলো, এই বিদ্যালয়টিকে ঘিরে একটি বাজারেরও সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এর নাম দিয়েছেন ‘কাঞ্চন বাজার’।
বিষয়টি নিয়ে ভীষণ আবেগাপ্লুত ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, জাহানারার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন কলেজের জন্য চেষ্টা করছি। আশা করি সেটাও একসময় হয়ে যাবে। স্কুলটিকে ঘিরে যে বাজারের সৃষ্টি হয়েছে তার নাম আমার নামে ভালোবেসেই করেছেন স্থানীয়রা। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়েই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই।
এই জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বর্তমানে নিরাপদ সড়ক চাই নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তার মতো জন গুরুত্বপূর্ন কাজে প্রচারনার কাজ করছেন। তবে অভিনয়ে এখন আর নিয়মিত কাজ করেন না তিনি। দীর্ঘদিন পর কিছুদিন আগে চিত্রনায়িকা রোজিনা পরিচালিত ‘ফিরে দেখা’ নামের সরকারী অনুদানের একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। কয়েকদিন আগে একটি নাটকেও অভিনয়ে দেখা গেছে তাকে।
ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিষেক ঘটে ১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বসুন্ধরা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর একই পরিচালকের ‘ডুমুরের ফুল’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন।
তবে ইলিয়াস কাঞ্চন জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন চম্পা, দিতি ও অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে। বিশেষত অঞ্জু ঘোষের সঙ্গে তোজাম্মেল হক বকুলের ‘বেদের মেয়ে জোছনা’তো দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী চলচ্চিত্র। এ পর্যন্ত তিনি ৩৩০টির বেশি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। আলমগীর কবির পরিচালিত ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৬ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তাকে একই পুরস্কার দিলেও তিনি তা প্রত্যাখান করেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম একক প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘বাদশা ভাই’। তিনি দুটি ছবি নির্দেশনা দিয়েছেন। ছবি দুটি হচ্ছে ‘বাবা আমার বাবা’ (মুক্তি ২০০৮ সাল) ও ‘মায়ের স্বপ্ন’ (মুক্তি ২০১০ সাল)।