শুরুটা কিছুটা ধীরগতির। নো বল, ফ্রি হিট আর ক্যাচ মিসে যত সময় গড়িয়েছে, বেড়েছে পাকিস্তানের রান তোলার গতি। খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন ফখর জামান-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। শেষদিকে দারুণ বোলিং করে আবারও ঘুরে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়া। তাতে রানটা যেমন বাড়ার ভাবনা ছিল, বাড়ল না ততটাও।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান।
দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ভালো শুরু পায় অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে। ১০ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে দুজনে এনে দেন ৭১ রান। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে বিদায় নেন পাঁচটি চার হাঁকানো বাবর। তাকে শিকার করেন অ্যাডাম জাম্পা।
ওয়ান ডাউনে ক্রিজে আসেন ফখর জামান। রিজওয়ানের সাথে ঠাণ্ডা মাথায় রানের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন তিনি। রিজওয়ান পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের একাদশ ও টুর্নামেন্টের তৃতীয় অর্ধশতক। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি বিদায় নেন মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে।
সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬৭ রান করেন রিজওয়ান। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে খ্যাতি পাওয়া আসিফ আলী। তবে প্যাট কামিন্সের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাকের শিকার হতে হয় তাকে, ১৯তম ওভারে। একই ওভারে ফখর জীবন পান ৪০ রানে। তবে জীবন পেয়েও আহামরি লাভ হয়নি।
১৯তম ওভারে পাকিস্তান সুবিধা করতে পারেনি, আসে মাত্র ৩ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে শোয়েব মালিককে স্ট্রাইকে পাঠান ফখর, যিনি বোল্ড হয়ে যান স্টার্কের বলে। তবে ফখর দুটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন অর্ধশতক, দলকে এনে দেন লড়াকু পুঁজি। তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৩২ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৬ রান।