অবশেষে সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামি ১৪ই নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এস.এস.সি পরীক্ষা ২০২১। দেশের সবচেয়ে বড় এই পাবলিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আনন্দের দোলা লেগেছে। স্কুলগুলোতেও উৎসবের আমেজ এবং পরীক্ষার্থীদের বিদায়ের উৎসব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বুধবার (১০ নভেম্বর) ইউসেপ ওয়াজেদ আলী স্কুল, খুলনায় এস.এস.সি ২০২১ পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: হাফিজুর রহমান মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউসেপ খুলনা ও বরিশালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী শেখ শওকত হোসেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যানে ইউসেপ শিক্ষা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে দরিদ্র শিশুদের বাড়িতে খোঁজ খবর নেয়া, অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, ঝুকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে বিরত রাখা এবং শিশুদের সুরক্ষা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে যা চোখে পড়ার মত। তিনি ইউসেপ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষদকের আন্তরিকতার প্রশংসা করেন। সেই সাথে স্কুল থেকে পাশ করা অনেক শিক্ষার্থী দক্ষতা অর্জন করে বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত হয়ে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি করে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের যে কোন উন্নয়নমূলক কাজে তার অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশ বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তার শিক্ষাক্রম কারিগরি শিক্ষার ধারায় পূণর্গঠণ করতে যাচ্ছে। যা ২০২২ সাল থেকে কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে তিনি ইউসেপ শিক্ষাক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শ্রেণি শিক্ষক সৈয়দা মেহেরুন নাহারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি শেখ শওকত হেসেন বলেন, ইউসেপ শিক্ষার্থীরা যদিও সমাজের অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান তবুও তারা লেখাপড়ায় অন্যান্য সাধারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি সুশৃংখল ও অনুগত। তারা লেখাপড়ায়ও অনেক বেশি আগ্রহী। তিনি করোনকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের কল্যানে বিদ্যালয়ের গৃহিত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের হাতে এই উপহার তুলে দেন। কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।