পিপিই নিয়ে দুর্নীতি হত্যাকাণ্ডের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আদানম গেব্রিয়াসুস। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্নীতি গুরুতর অপরাধ।
কারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি পিপিই ছাড়া কাজ করেন তবে সেটি তাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি, সেই সঙ্গে তারা যাদের সেবা দিচ্ছেন তাদের জন্যও।
এদিকে এক প্রতিবেদনে মাস্ক পরা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। দুই সংস্থা বলছে, ১২ বছর বয়স থেকে বড়দের মতো শিশুদেরও মাস্ক পরা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি আছে, তাদের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো একই পরিস্থিতিতে তাদেরও অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
অন্যদিকে ইউনিসেফ জানিয়েছে, যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় না, সেসব স্থানে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা উচিত। এছাড়া যেখানে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা থাকে সেখানে অবশ্যই তাদের মাস্ক পরা উচিত।
তবে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বড়দের তদারকি করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কারণ এ বয়সে অনেক শিশু মাস্ক পরে অস্বস্তিবোধ করতে পারে। কিন্তু যেসব স্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি, সেখানে বড়দের দায়িত্ব হবে ছোটদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ উভয়ই জানিয়েছে, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ৫ বছর বা তার কম বয়সের শিশুদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
দুই সংস্থাই বলছে, অপেক্ষাকৃত ছোট শিশুদের চেয়ে তুলনামূলক বয়সে বড় শিশুরা করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে শিশুদের করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝতে আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
৫ জুন জনসম্মুখে মাস্ক পরার বিষয়ে প্রথম পরামর্শ দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার বিস্তার রোধ করতে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। তবে এর আগে শিশুদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা সংস্থাটির পক্ষ থেকে জারি করা হয়নি।
বিশ্বে করোনা রোগী ২ কোটি ৩৪ লাখ ছাড়াল : বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও আড়াই লাখের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, মারা গেছেন আট লাখ ৯ হাজার মানুষ। ভারতে এক দিনে ৭০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। দক্ষিণ কোরিয়ায়ও মার্চের পর রোববার এক দিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনাভাইরাস কোনো না কোনো আদলে আজীবন থাকতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের জরুরি পরিস্থিতিতে বৈজ্ঞানিক পরামর্শ কমিটির সদস্য স্যার মার্ক ওয়ালপোর্ট। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।
খুলনা গেজেট/এআইএন