খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের
  সালমান-আনিসুল-পলকসহ ৮ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

খুলনায় দিনে-রাতে মশার উৎপাত, এক সপ্তাহ সময় চান নগর কর্তা

সাগর জাহিদুল

এ যেন মশার রাজ্যে বসবাস। দিন ও রাতের নেই কোন ব্যবধান। মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সিটি কর্পোরেশন বলছে মশার হাত থেকে বাঁচতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিশেষ টিম গঠনের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। অন্যদিকে সাধারণ জনগণ তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন।

গত তিন মাস ধরে নগরবাসী মশার আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সারাদিন কমবেশী থাকলেও দুপুর গাড়িয়ে গেলে এদের আক্রমণ আরও বেশী বেড়ে যায়। বাড়ির আশপাশের ড্রেন ও ঝোপঝাড় থেকে এদের উৎপত্তি। নিয়মিত ঔষধ না দেওয়ার কারণে এদের এতো উপদ্রব।

নগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু মো: শরীফ জানান, গত তিন মাস ধরে মশার কামড়ে অস্থির। স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হলে তারা এখানে ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দেয়। এরপর কিছুক্ষণ মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। পরে আবার মশার উৎপাত।

বড় মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম রায় জানান, দিনের বেলায় ঘরের জানালা দরজা খোলা যায় না। খুললেই মশার আক্রমণ। এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করেছেন। সাময়িকভাবে মশার হাত থেকে নিস্তার পেলেও পরেই আবার আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলে তিনি আরও জানিয়েছেন। এখানে কোন ফগার মেশিন বা স্প্রে ম্যান দেখাও যায়না।

সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন খালিশপুর ও দৌলতপুর থানা এলাকার অবস্থা আরও খারাপ। ঐ দুই থানার অধিকাংশ ওয়ার্ডে মশক নিধনে কেসিসির ক্রাস প্রোগাম খুব একটা দৃশ্যমান নয়।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুর আজিজ জানান, এখন মশা প্রজননের সময়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে মূলত মশার উপদ্রব। মশক নিধণের জন্য সকালে কালো তেল মারা হয়, বিকেলে ফগার মেশিন দিয়ে ধোয়া দেওয়া হয়। খুলনা মহানগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে ৩১ জন কাজ করছে। সাথে আরও অতিরিক্ত ৩১ জন রয়েছে। অতি জরুরী প্রয়োজনে আরও তিন জন লোক বেশী রাখা হয়েছে। মশক নিধণের জন্য ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন তারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মশার আক্রমণ তেমন একটা থাকবে না। তিনি সকলকে বাড়ির আঙ্গিনা ও ঘরের আশপাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!