খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

‘হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা’

গেজেট ডেস্ক

বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের মধ্যে যাদের নিবন্ধন নেই, অথবা লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি, তাদের নিবন্ধন এবং লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মেয়াদ শেষ হয় রোববার ২৩শে অগাস্ট।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রোববার রাত ১২টার মধ্যে যারা নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় আবেদন সম্পন্ন করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা ফরিদ হোসেন মিয়া বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন বা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে নানা ধরণের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তখন দেখা যায়, করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালেরও লাইসেন্স নাই। তখন সরকার এক মাস সময় দিয়ে দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে নিবন্ধন এবং লাইসেন্স নবায়নের জন্য সময় বেধে দেয়।

ডা ফরিদ হোসেন মিয়া বলেছেন, “যাদের আদৌ লাইসেন্স নেই, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে, অর্থাৎ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি যাদের লাইসেন্স আছে, কিন্তু নবায়ন করেনি তাদের প্রয়োজনে কিছুটা সময় দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা আবেদন করলেই একমাত্র সেটি সম্ভব।”

তিনি জানিয়েছেন, রোববারের মাঝরাতের মধ্যে কতগুলো হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়ন বা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি, তা বোঝা যাবে। কিন্তু এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। “এরপরই নির্ধারণ করা হবে, কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।” ২০১৮ সাল থেকে ম্যানুয়ালি লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া থেকে সরকার অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া শুরু করে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাড়ে ১৭ হাজার ২৪৪টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের মত প্রতিষ্ঠান ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

বাংলাদেশে জুলাই মাসের শুরুতে ভুয়া করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল হবার পরও, অর্থাৎ বিনামূল্যে সেবা দেয়ার জন্য সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পরেও রোগীদের কাছ থেকে বিল আদায় এবং লাইসেন্সবিহীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় সরকার।

এরপর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অনিয়ম বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে কোনটি সীলগালা, কোনটির কার্যক্রম বন্ধ এবং কোনটিকে জরিমানা করা হয়।

সে সময় দেখা যায়, পুরো দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের একটি বড় অংশের নিবন্ধন নেই। এর বাইরে লাইসেন্স নবায়ন করেনি এমন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যাও কম নয়।

এরপর লাইসেন্স নবায়ন ও নিবন্ধনের জন্য স্বাস্থ্য খাতে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দশ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নবায়ন এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।

সরকারি হাসপাতালে স্থান না পাওয়ার কারণে অনেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়।

সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বিবিসিকে বলেছেন, নিবন্ধন ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকার যেসব শর্ত দিয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো পূরণ করা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য কঠিন।

সেজন্য রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে একটি বৈঠক করে তারা সরকারি নিয়মকানুন কিছুটা শিথিলের আবেদন জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!