জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনে মোংলা সমুদ্র বন্দরে বড় কোন প্রভাব পড়েনি। মোংলা বন্দরের জেটি ও আউটার বারে অবস্থানরত জাহাজে পন্য ওঠামানাসহ সড়ক ও নৌপথে পন্য পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম মুসা জানান, সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের প্রথম দিনে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের জেটি ও আউটার বারে অবস্থানরত জাহাজের পন্য ওঠামানা স্বাভাবিক রয়েছে। রপ্তানী পন্য ও জাহাজ থেকে খালাসকৃত আমদানী পন্য সড়ক নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে বড় কোন প্রভাব পড়েনি।
তবে মোংলা বাস টার্মিনাল থেকে আন্ত:জেলার ১৭টি রুটসহ দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারনে সকাল থেকে গন্তব্যে যেতে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন যাত্রীবাহী পরিবহন না পেয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। এসব লোকজনকে ভেঙ্গে-ভেঙ্গে তিন থেকে চার গুন ভাড়া বেশি দিয়ে নসিমন-করিমনসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনে করে গন্তব্যে পৌছাতে হচ্ছে।
এদিকে মোংলা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, মোংলা ইপিজেডের ফ্যাক্টরীগুলোর কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য মোংলা বন্দর ও বেনাপোল বন্দর দিয়েই পরিবহণ হয়ে থাকে। অনির্দিষ্টকালের এই পরিবহন ধর্মঘটের অব্যাহত থাকলে এর কিছুটা প্রভাব পড়বে।