বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার এক ইউপি সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ১০ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত ওয়ার্ড ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২ নভেম্বর বেলা ১২টায় হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অনিমেষ মন্ডল তালতলা বেলাই এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন গোলদার। উপজেলা চেয়ারম্যান আকস্মিক সেখানে এসে অনিমেষকে দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেন, চিটারকে নিয়ে বসে আছ। পরে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন অনিমেষকে লাথি মারেন।
এতে সকল ইউপির চেয়ারম্যান, সদস্য/সদস্যা ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে হাজির হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর নিকট অভিযোগপত্র জমা ও শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে উপজেলা পরিষদের সকল অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দেন।
অভিযোগপত্র জমাদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবু সাইদ, পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল, ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু, বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ, হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান তপন গোলদার, বাশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজীব সরদার, জেলা পরিষদ সদস্য অসীত বরণ কুন্ডু, হুড়কা ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং পরিষদের কর্মকান্ড এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, অনিমেষ মন্ডলকে মারপিট করার প্রশ্নই আসে না। একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। সেখানে অনেকই উপস্থিত ছিলেন। আমিই উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অতি উৎসাহীরা ভুল বুঝিয়েছেন। আমি সহাবস্থানে বিশ্বাস করি।
খুলনা গেজেট/ টি আই