বাগেরহাটের চিতলমারীতে দীর্ঘ দশ বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সবজি ব্যবসায়ী সাফায়েত পাওনা টাকা ফেরত পাননি। বার বার সালিশি বৈঠকের নামে তার সাথে প্রহসন করা হয়েছে। অবশেষে তিনি টাকা ফেরত পেতে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে মো. জাহিদ শেখ ও মো. মাসুম শেখ নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করছেন।
অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, উপজেলার নালুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত নোয়াবুদ্দিন শেখের ছেলে মো. সাফায়েত পেশায় একজন সবজি ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নালুয়া বাজার এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন। সেই সুবাদে ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর কাছ থেকে উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের মো. জাহিদ শেখ ও বাবুগঞ্জ বাজার এলাকার মোসা শেখের ছেলে মো. মাসুম শেখ চালানের (চালান নং-১৮৫) মাধ্যমে ৯৫ হাজার টাকার মাল ক্রয় করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে টাকা দিবে বলে ট্রাকে মাল নিয়ে মাসুম ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত বসে থেকেও সাফায়েত কোন টাকা পাননি। সেই থেকে তাঁর দ্বারে দ্বারে ঘোরা শুরু হয়। কিন্তু আজ অব্দি তিনি কোন টাকা পাননি। তাই পাওনা টাকা ফেরত পেতে তিনি গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে মো. জাহিদ শেখ ও মো. মাসুম শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করছেন।
বুধবার দুপুরে মো. সাফায়েত সাংবাদিকদের বলেন, অনেক কষ্টের টাকা। বহু পথে পথে ঘুরেছি। কিন্তু তারপরও টাকা পায়নি। সালিশ বিচারের নামে আমার সাথে বার বার প্রহসন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মো. জাহিদ শেখ বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। মাসুম ও আরেক ব্যাপারী আমার নামে চালান কেটে সাফায়েতের কাছ থেকে মাল নেয়। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার সালিশি হয়েছে। আমার অংশের টাকা দিয়ে দিয়েছি। এখন মাসুমদের কাছে টাকা পাবে।
মো. মাসুম শেখ বলেন, সাফায়েতের সাথে আমার কোন লেনদেন নেই। আমি ওর কাছ থেকে কোন মালক্রয় করিনি। সে অযথা আমাকে হয়রানি করছে।
সালিশদার মো. জামাল সরদার বলেন, ওরা সাফায়েতকে একটি টাকাও দেয়নি। সালিশ বৈঠকে বসে টাকা দেয়ার কথা সিদ্ধান্ত হয়। এই মর্মে একটি সালিশনামাও লেখা হয়েছিল।
তবে চিতলমারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ জমারত আলী বলেন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি কাগজ পেয়েছি। দুই একদিনের মধ্যে দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম