করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ ছুটি শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হওয়ার পর গত একমাস ১৩ দিনের ব্যবধানে খুলনা জেলায় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শারদীয় দূর্গোৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটিতে কেটেছে ১৬ দিন। ১২ সেপ্টেম্বর জেলায় উপস্থিতির হার ছিল ৭০ শতাংশ। গতকাল উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ।
১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে পাঠাদানের প্রথম দিন তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ক্লাস হয়। রূপসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম দিনে তৃতীয় শ্রেণিতে ৪৫ শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর পিটিআই পরিক্ষণ বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৭৬ শতাংশ।
ভিক্টোরিয়া ইনফ্যান্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব প্রসাদ বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকে পাঠদানের প্রথম দিন তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছিল ৭১ শতাংশ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম সিরাজুদ্দোহা এ প্রতিবেদককে জানান, করোনা ছুটি পরবর্তী পাঠদানের প্রথম দিন ৭০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দিনে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। উপস্থিতির হার বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন গতকাল জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাঠদানের ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা চলছে। পঞ্চম শ্রেণিতে প্রতিদিন ক্লাস হচ্ছে। আজ পর্যন্ত জেলায় প্রাথমিকে উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ। পিইসি পরিক্ষা না হলেও বার্ষিক পরিক্ষা হবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
জেলায় এক হাজার ১ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৩২ জন শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণ করছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই