দৌলতপুরের প্রভাবশালী পাট ব্যবসায়ী, দৌলতপুর থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শেখ নরুল হক নুরুকে একটি প্রতারণা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসাবে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। র্যাব-৬ অধিনায়ক কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার নামে একাধিক চেক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ারা রয়েছে। শেখ নুরুল হক নুরু একসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন।
র্যাব-৬ অধিনায়ক কর্ণেল মোস্তাক আহমেদ জানান, ঢাকার একটি প্রতারণা মামলায় শেখ নূরুল হক নুরু চার বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। নানা কৌশলে এবং প্রভাব বিস্তার করে গ্রেপ্তার এড়িয়ে খুলনায় অবস্থান করতেন। গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব তার বাড়ী থেকে আটক করে এবং আজ তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে মোট ৪টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দৌলতপুরের একজন পাট রপ্তানীকারক জানান, দলীয় প্রভাবের কারণে শেখ নুরুল হক নুরুকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করত না। তিনি দাবি করেন, ঢাকা–খুলনা দিয়ে ৮টি মামলায় তিনি পলাতক আসামী, এরমধ্যে দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। যার মধ্যে তার নিজের দুই কোটি টাকা চেক প্রতারণার মামলা রয়েছে । থানা পুলিশের কাছে ৮টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তাকে কখনও আটক করেনি।
এব্যাপারে দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জুট এসোশিয়েশন সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী জানান, শেখ নুরুল হক নুরু বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হলেও আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই। তিনি বলেন, পাট ব্যবসায় চেক ক্যাশ না হবার ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন।
সরকারি বিএল কলেজের সাবেক ছাত্রশিবির নেতা এবং কলেজের তৎকালিন ভিপি এড শেখ জাকিরুল ইসলাম জানান, শেখ নুরুল হক নুরু ছাত্রশিবিরের মনোনয়নে দৌলতপুর ডে-নাইট কলেজের ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি সরকারী দলে যোগদান করেন।
খুলনা গেজেট/এএ