বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আওতাধীন বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইন ২০২১’ এ প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
পরে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের আলোকেই এ আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনের ধারা আটে কিছু অপরাধের কথা বলা হয়েছে। কমিশন যে পরীক্ষাগুলো নেবে সেসবে কেউ যদি অসৎ উপায় অবলম্বন করেন তাহলে সর্বোচ্চ ২ বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়ই দণ্ডই দেয়া হতে পারে।
‘আর প্রশ্ন ফাঁসে যারা জড়িত থাকবেন তাদের বিষয়টা নোটেবল জিনিস। তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বোনিম্ন ৩ বছর বা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। শক্ত একটি অবস্থান নেয়া হয়েছে, জরিমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আর উত্তরপত্র জালিয়াতিতে যারা জড়িত থাকবেন তারা সর্বোচ্চ ২ বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এখানেও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অসৎ উপায় অবলম্বনে যদি কেউ সহায়তা করে সেও সর্বোচ্চ ২ বছর ও সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা দুটোতেই দণ্ডিত হবেন।
‘পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেয়া হলে তাদেরকেও এক বছরের কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে। পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করেন তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। মোবাইল কোর্টের মধ্যেও এ বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পরীক্ষা সংক্রান্ত অপরাধে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিচারের আওতায় আনা যাবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই আইনটা মূলত রুল বেইজড আইন। বেশির ভাগ জিনিসগুলো রুল দিয়ে করে নেয়া হবে। একটা জেনারেল একটি প্রবিশন করে দেয়া হয়েছে আইনটিতে। এতে মাত্র ১৫টি ধারা আছে।
‘এখানে একটি কমিশন গঠন করা হবে সেটার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। কমিশন থাকবে এবং এতে ৬ জন সদস্য থাকবেন। তবে কোনোক্রমেই সদস্য ১৫ জনের বেশি হবে না, এরকম একটি আউটলাইন করে দেয়া হয়েছে। বাকিটা রুল দিয়ে করে দেয়া হবে। তাদের দায়িত্ব হলো সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন রিক্রুটমেন্টের বিষয়ে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’
খুলনা গেজেট/এনএম