আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দলের সব জেলা-উপজেলা, থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। মঙ্গলবার রাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময়ের এই বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, থানা, পৌরসভাসহ সব পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি দিতে হবে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘এক নেতা, এক পদ’ কার্যকরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব জেলা সফর করবেন। জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সব ইউনিটের কমিটি গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। কমিটি গঠনের জন্য একটি ‘ওয়ার্কশিট’ তৈরি করতে বলেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
যেখানে কমিটি গঠনের সব কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে এই ‘ওয়ার্কশিট’ হাইকমান্ডের কাছে জমা দিতে হবে। ইউনিট কমিটি তদারকির জন্য জেলা নেতাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পেশাজীবীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বৈঠকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর মধ্যে দলের সব পর্যায়ের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানান, বৈঠকের শুরুতে একটি সাংগঠনিক প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। সেটার আলোকে সব জেলা, উপজেলায় দলের সম্মেলন করে কমিটি গঠন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দলের দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ জেলা-উপজেলাগুলোতে দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়েদ, ফজলুল হক মিলন, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিলকিস আক্তার শিরিন। তবে, সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে একজন বিদেশে অবস্থান করায় এবং আরেকজন মামলা সংক্রান্ত কারণে বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
খুলনা গেজেট/এনএম