যশোর শিক্ষাবোর্ডে আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০ টাকা জালিয়াতির ঘটনা। এ তথ্য দুদকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলি আর রেজা। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের নামে এ চেক জালিয়াতি করা হয়েছে সেটা জানাতে রাজি হয়নি হিসাব শাখা।
সূত্র জানায়, শিক্ষাবোর্ডের একাউন্ট থেকে ১০ হাজার ৩৬ টাকার ভ্যাট ও আয়করের ৯টি চেক জালিয়াতি করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করে একটি চক্র। এ ঘটনা গত ৭ অক্টোবর ধরা পড়ে। এরপর দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা চেক জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত শুরু করলে প্রধান অভিযুক্ত বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম আত্মগোপন করেন। এক পর্যায়ে তিনি চিরকুট লিখে ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা ফেরত দেন ও দুদকে গিয়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দেন।
এদিকে, শিক্ষাবোর্ডে আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ফের ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০ টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনা।
বোর্ডের হিসাব শাখার উপপরিচালক এমদাদুল হক জানান, এদিন বোর্ডের হিসাব যাচাই করার সময় একটি চেকের মুড়ি বইয়ে এ অসংঙ্গতি ধরা পড়ে। মূল চেকের অংকের সাথে উত্তোলনকৃত টাকার মিল নেই। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে বোর্ডের সচিবকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলি আর রেজা বলেন, বোর্ডের আরেকটি চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ায় তা যাচাই বাছাই করে দুদকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তারাই আগের ঘটনার সাথে এ বিষয়টিও তদন্ত করবে। তবে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের নাম ও কত টাকার বিপরীতে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০ টাকার চেক জালিয়াতি করা হয়েছে সেটা বলতে চাননি।
এ বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় অফিসিয়াল কাজে রয়েছি, তবে ঘটনাটি শুনেছি। তিনি বলেন, আমি হিসাব শাখায় নির্দেশ দিয়েছি জালিয়াতির কোন ঘটনা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে। এসব জালিয়াতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
খুলনা গেজেট/এনএম