বাগেরহাটে ঠিকাদারকে গুলির মামলায় দুলাল আকন (৩৮) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকা থেকে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে দুলালকে আটক করে। পরে রবিবার সকালে দুলালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ির পাশের বাগান থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার রাতে গুলিবিদ্ধ ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম মনকের বড় ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে দুলাল আকনসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুলাল আকনের মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন কামরুল ইসলাম। গ্রেফতার দুলাল আকনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম।
আটক দুলাল আকন বাগেরহাট শহরের কৃষ্ণনগর এলাকার শাহজাহান আকনের ছেলে। আটক দুলালের নামে বাগেরহাট মডেল থানায় মাদক ও মারামারিসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারকে গুলির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় দুলাল আকন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুলালের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির পাশের বাগান থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার রাতে বাগেরহাট শহরের কৃষ্ণনগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে সিরাজুল ইসলাম মনককে (৪৫) লক্ষ করে গুলি করে দূর্বৃত্তরা। এতে তার বাম পায়ের উড়ুতে গুলি লাগে। আহত অবস্থায় সিরাজুল ইসলামকে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঠিকাদার মনক বাগেরহাট শহরতলীর কৃষ্ণনগর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ সিরাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট গনপূর্ত, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করে আসছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম