দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামী ১১ অক্টোবর (সোমবার) ষষ্ঠীর পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাউৎসব। এজন্য সাতক্ষীরা জেলার মন্ডপে মন্ডপে চলছে দুর্গাপূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি। তাদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা, গণেশ ও কার্তিকসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা।
সাতক্ষীরা জেলায় এবার ৫৮১টি মন্ডপে উদযাপিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। তবে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে সরকার নির্দেশিত সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে দুর্গোৎসব বিবেচিত হলেও বর্তমানে তা বাঙালি উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় প্রতিমা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য সাবান দিয়ে হাতধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি। আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী এবং ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী বা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে এবারের শারদীয় দুর্গাৎসব।
সাতক্ষীর জেলা মন্দির কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে তাদের সকল প্রস্তুতি শেষের দিকে। গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা সভা হয়েছে। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে যে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করলে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। এ বছর উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপের নিজস্ব সেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোর তালিকা করে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় আনসার ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পূজা বিজিবি, র্যাব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন টহল দেবে বলে জানা গেছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলওয়ার হুসেন বলেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছি। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আমরা সর্বদা সজাগ রয়েছি। সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারে সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় দ্বায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
খুলনা গেজেট/এনএম