করোনা সংকটের পর দোকানপাট চালু হলেও জমে ওঠেনি কাপড় বেচাকেনা। সারা বছর বেচাকেনা কম থাকলেও দূর্গা পূজার সময়ে তা পুষিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার করোনার কারণে ঈদ দেখতে দেখতে চলে গেছে। বসে থেকে পুঁজিতেই টান পড়েছে ব্যবসায়ীদের। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে অন্য ব্যবসায় ঝুঁকেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে বেচাকেনা নেই। কোনো কোনো দোকানে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করলেও বিক্রি নেই। তাছাড়া বন্ধ রয়েছে মার্কেটের অনেক দোকান।
জি এম মার্কেটের মালিক দয়াল মদক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা খুব খারাপ সময় পার করছেন। অনেক দোকানপাট বন্ধ হওয়ার পথে। আমাদের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ভালো নেই তাদের বেশিরভাগই ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।’
এসকে গ্যালারী পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী শেখ সোহেল জানান, ‘সকাল থেকে বসে আছি ক্রেতাদের অপেক্ষায় কখন আসবে। করোনার প্রভাব পড়েছে বাজারে এখনো রেশ কাটেনি মানুষের আর্থিক সমস্যা না গেলে আমাদের কাছে কিভাবে আসবে। তিনি আরো বলেন ব্যবসায়ীদের কাছে আগের মতো মূলধন নেই। আগের দামি পণ্যগুলো এখনো রয়ে গেছে।’
শরিফ নামে আরেক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই খারাপ সময়ে এখানকার ব্যবসায়ীরা ভালো নেই। এখনও আশা আছে হয়তো শেষের দিকে ক্রেতাদের ভিড় হতে পারে।’
ফকিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শিরিনা আক্তার কিসলুর সাথে কথা হলে তিনি জানান , ‘ফকিরহাট বাজার ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ একটি স্থান। এ বাজারে অন্য উপজেলার ক্রেতারাও বেশ চোখে পড়ার মত। পার্শ্ববর্তী রূপসা, মোংলা, রামপাল , মোল্লারহাটসহ চিতলমারি উপজেলার ক্রেতাদের দিকে চেয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর্থিক সংকট রয়ে গেছে, ফলে বাজারে ক্রেতা অনেক কম। তবে আশা করছি শেষ সময়ে ক্রেতা বাড়বে, কিছুটা হলেও ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবে ব্যবসায়ীরা।’
খুলনা গেজেট/ এস আই