বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক (গেট) থেকে থানার ফটকের দূরত্ব চারশ’ গজ। যখন যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই ৪০০ গজ রাস্তা অতিক্রম করতে প্রায়ই ৪০ মিনিট সময় লাগে। সরকারি দপ্তর মুখো মানুষ গুলোর ভোগান্তির শেষ থাকে না। যানজটে পড়লে যানবাহন ছেড়ে হাটা শুরু করেন। অনেকে আবার বাধ্য হয়েই গরমের মধ্যে বসে থাকেন পরিবহনে।
এ ভাবেই চলছে মাসের পর মাস। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এ সমস্যা সামাধানের কোন পরিকল্পনা বা কর্মকান্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে এমনটাই জানালেন ভ্যান চালক সঞ্জয় বৈরাগী, অটো চালক অহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী সুবল কর্মকারসহ আরো অনেকে।
তাঁরা জানান, বাগেরহাট-গোপালগঞ্জ এ সড়কের চিতলমারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আগে যানজট হতো না। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের সামনে রাস্তার দুই পাশে নালা (ড্রেন) তৈরী করার পর যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। আর দিনদিন এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক (গেট) থেকে থানার ফটকের দূরত্ব চারশ’ গজ। এই ৪০০ গজ রাস্তার উপর অপরিকল্পিত ভাবে ভ্যানস্ট্যান্ড, মোটরসাইকেলস্ট্যান্ড, অটোস্ট্যান্ড, মাহেন্দ্রস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড ও ট্রাকস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে কোটি টাকার ব্রীজের উপর ভ্যানস্ট্যান্ড ও অটোস্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় দিনদিন চিতলমারীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ লিটন আলী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
খুলনা গেজেট/ এস আই