খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

বাগেরহাটে মন্দিরে চলছে দূর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব দূর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বাগেরহাটের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই উৎসবের ডামা ডোল বাজবে দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে। পূজার মূল উপাদান প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তবে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ না হলেও হিন্দু ধর্মালম্বী অনেকেই ঘূরে বেড়াচ্ছেন মন্ডপে মন্ডপে। পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

এবছর দেবী দূর্গা আসবেন ঘটকে, মর্ত ত্যাগ করবেন দোলায় চরে। ১১ অক্টোবর সোমবার ৬ষ্টী তিথির মাধ্যমে দূর্গা পূজার মূল আয়োজন শুরু হবে। ১৫ তারিখ শুক্রবার বিকেলে দশমীতে মা-দূর্গাকে বিষর্জনের মধ্য দিয়ে এই মহাজজ্ঞের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার তথ্য অনুয়ায়ী, এবছর বাগেরহাটের ৬২৩টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৮৮ মন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ২২০ মন্ডপকে গুরুত্বপূর্ণ ও ২২৫ মন্ডপকে সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করছে পুলিশ। এবছর চিতলমারী উপজেলায় সব থেকে বেশি ১৪৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এসব মন্ডপের নিরাপত্তা ও শঅন্তিপূর্ণভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পুলিশ, র‌্যাব ও আনছার সদস্যরা কাজ করবেন। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কি পরিমান সদস্য কাজ করবে তার এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাগেরহাট শহরের কাপড়পট্টী সার্বজননীন দূর্গা মন্ডপের কারিকর মুকুল পাল বলেন, এবছর বাগেরহাটের আটটি মন্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি আমরা। কিন্তু করোনার কারণে আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ একটু পরে শুরু করেছি। তারপরেও বেশিরভাগ মন্ডপের প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করেছি। এখন ঘষামাজার কাজ চলছে। দুই একদিনের মধ্যে রংয়ের কাজ শুরু করব।

মিলন পাল নামের আরেক কারিকর বলেন, বেশিরভাগ মাটির কাজ শেষ করেছি। এখন দেব-দেবীর মুখ অবয়বের ফিনিশিংয়ের কাজ করছি। হোগলার চট, ছালা ও মাটি দিয়ে মা দূর্গার শাড়ি বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মৌসুমী কর্মকার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সারা বছরই অপেক্ষা করি দূর্গা পূজার উৎসবের জন্য। এবছর করোনার কারণে এক ধরণের ঘরবন্দি ছিলাম। তাই দূর্গা পূজা শুরু হওয়ার আগেই বন্ধুরা মিলে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে প্রতিমা তৈরির কাজ দেখছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আরও বেশি আনন্দ হবে আমাদের।

বাগেরহাট জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অবনিশ চক্রবর্তী সোনা বলেন, করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ায় এ বছর গেল বছরের থেকে আরও বেশি উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে বাগেরহাটে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রতিটি মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশাকরি সবাই মিলে শান্তিপূর্ণ দূর্গা পূজা সম্পন্ন করতে পারব আমরা।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, বাগেরহাট জেলায় এবছর ৬২৩টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে পূঝা অনুষ্ঠানের জন্য জেলা পুলিশ সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পূজার প্রস্তুতি পর্যায়ে নিরাপত্তা প্রদানের কাজ করছে পিুলিশ সদস্যরা। পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

 

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!