খুলনা মহানগরীর মুজগুন্নি মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সংস্কারের অভাবে মহাসড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ জরুরি প্রয়োজনে এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংযোগ স্থল এ সড়কটি। সড়কটির দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বাজার, আবাসিক এলাকাসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস। খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের সাথে সংযুক্ত এই মহাসড়কটি। কিন্তু সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা হতাশ করেছে ব্যবহারকারীদের। আজ সকালে সড়ক সংলগ্ন মুজগুন্নি শিশু পার্কের সামনে এক মানববন্ধনে এমনটাই বলেছেন বক্তারা।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। নিসচার খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পরিবেশ সুরক্ষায় উপকূলীয় জোটের আহবায়ক এস এম শাহনওয়াজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইস্কান্দার আলী, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শ্যামল কুমার, লবনচরা টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন তুহিন, নিচসার সহ-সভাপতি শেখ মো: নাসিরউদ্দিন, আব্দুস সালাম শিমুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: রুহুল আমীন তালুকদার সোহাগ, মো: ইলিয়াস হোসেন লাবু, মো: রকিবউদ্দিন ফারাজী, অর্থ সম্পাদক মো: নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা চৌধুরী কনিকা, দপ্তর সম্পাদক এম মোস্তফা কামাল, প্রচার সম্পাদক মো: সোলায়মান হোসেন, প্রকাশনা সম্পাদক মো: নাসিরউদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো: মাসুম বিল্লাহ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম সাগর, কার্য্যনির্বাহী সদস্য বনানী আফরোজা, মো: শামীম হোসেন, তানিয়া সুলতানা, মাহমুদা আক্তার লিজা, কাজী রাসেল, মাথাভাঙ্গা কাজী পাড়া সিদ্দীকিয়া জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মো. কামরুল ইসলাম,, মুজগুন্নি এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর শিকদার, শেখ আবুল কালাম আজাদ, তালিবুর রহমান, শেখ মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম লস্কর, অজয় কুমার রায়, সিকদার আলী, রেজাউল ইসলাম, নজির হোসেন, মোঃ আকরাম হোসেন, কবির হোসেন, নাজমুল হোসেন।
সভাপতি ইকবাল হোসেন বিপ্লব বলেন, নগরীর লবনচরা এলাকার শিপইয়ার্ড সড়ক সংস্কারের জন্য প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এ টাকার কোন হিসাব কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। এক বছরের বেশী সময় ধরে রাস্তাটি বেহাল দশায় রয়েছে। খুলনা একটি পরিস্কার নগরী হিসেবে দেশবাসীর কাছে ব্যাপক পরিচিতি ছিল। কিন্তু সংস্কারের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে চলাচলের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। সরকার দেশকে উন্নয়নের যে রোল মডেল ঘোষণা দিয়েছে মুজগুন্নি মহসড়কটি তার বাস্তব প্রমাণ।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কয়েকটি স্কুলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তা দিয়ে স্কুলে যায়। বর্ষার সময় রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত রয়েছে, সেখানে পড়ে আহত হয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে যেতে গেলে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে। আমরা একটি টেকসই সড়ক নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ স্বরূপ ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ দুলাল সড়কের একটি বড় গর্তের মধ্যে অবস্থান নেন। তিনি সংবাদিকদের ছবি তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, এখানে মানুষ পড়ে এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অহরহ।
খুলনা গেজেট/এনএম

