বাগেরহাটের চিতলমারীতে নির্বাচনী প্রতিহিংসায় এক জেলের বাগদা চিংড়ি ধরার ৫২ টি বুটো জাল পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) ভোর রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। অগ্নিকান্ডে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।
শুক্রবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ জেলে মানষ হালদার (৪৫) কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ‘বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আমার পাঁচ সদস্যর পরিবার। বুটো জাল দিয়ে পরের ঘেরের বাগদা চিংড়ি মাছ ধরে দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আরুলিয়া গ্রামে আমাদের বসবাস। গত ২০ সেপ্টেম্বর আমাদের এখানে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আমি সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোরগ প্রতীকের পরিতোষ মন্ডলের সমর্থক ছিলাম। কিন্তু নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকের কিশোর মজুমদার জয়লাভ করেন। এরপর থেকে তার কয়েকজন সমর্থক আমাকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। তাঁদের মধ্যে একজন আমার জাল গুলো পুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমি পরিবারের লোকদের কি খাওয়াবো? আমি এর উপযুক্ত বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।’
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য পরিতোষ মন্ডল বলেন, ‘নির্বাচনে মানষ হালদার আমার পক্ষে কাজ করেছে। এটাই তাঁর কাল হয়েছে। তাই জাল গুলো পুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। ওই জাল গুলো সে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে কিনেছিল। এখন তাঁকে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে।’
ওই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য কিশোর মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবে। মানষ হালদার আমার পক্ষে কাজ করেননি এটা ঠিক। কিন্তু তাই বলে তাঁর এত বড় ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না। যারা এ কাজ করেছে তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’
চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি নতুন এবং পুরাতন দুই মেম্বারকেই বলেছি আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করতে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই