জোর করে হলে প্রবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার সিদ্ধান্ত থাকলেও তার আগেই আজ শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে তারা হলে প্রবেশ করেন। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার অনুরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি তারা।
থাকার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত হল ছাড়ছেন না জানিয়ে একুশে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, হল ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। হল ছেড়ে আমরা কই যাব! ঢাকা শহরে কেউ কারও বাসায় একদিন রাখতে চায় না। তবে ৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করলে আমরা হল ছাড়ব।
রাকিব হাসান নামের অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা এতো দিন ধৈর্য ধরতে পেরেছি। আর তিন দিন পারছি না কেন? এটা তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝতে হবে। আমরা কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে হলে উঠেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি ১ তারিখ হল খুলতে হবে। এই পাঁচ দিনের জন্য আমরা মেস ভাড়া দিতে পারব না। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। আমরা আজ থেকেই হলে থাকব। তাছাড়া ঢাকায় আমাদের থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়াঁ বলেন, ‘অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইশতিয়াক এম সৈয়দ আমাকে অনুরোধ করলে আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। তাদেরকে ৫ তারিখের আগে হলে না ওঠার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তারা হল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’
অমর একুশে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ইশতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। আশা করি সুষ্ঠু সমাধান হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টা আমি জেনেছি। হল প্রশাসনকে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করতে বলা হয়েছে। যারা হলে প্রবেশে করেছে তারা শিক্ষার্থী নয়। আমি বিশ্বাস করি, কোনো নিয়মিত ও মেধাবী শিক্ষার্থী এ কাজ করবে না। তারা কারা, তাদের পরিচয় কী, তারা কোন উদ্দেশ্যে এটা করছে- এসব জানার চেষ্টা চলছে।’
এদিকে অমর একুশে হল ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশ কয়েকটি হলে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা উঠে গেছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই