চার মাস ২৪ দিন পর নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার নিয়াজ মোর্শেদ হত্যা মামলায় ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ আশারাফুল আলম এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামির মধ্যে দু’জন পলাতক রয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো, বয়রা ক্রস রোডের শেখ নাসির উদ্দিনের ছেলে জকির হোসেন বাবু, হাফিজ নগর রাঙ্গা মিয়ার ভাড়াটিয়া বাবু হাওলাদারের ছেলে নুর ইসলাম, ও একই এলাকার মোঃ নুরুর ছেলে রেজা, গোবরচাকা গাবতলা এলাকার হালিম, নিজ খামার এলাকার লুৎফর হোসেনের ছেলে ইয়াছিন হোসেন, সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার মনা মুন্সির ছেলে আলাউদ্দিন, একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রানা ও আবুল হোসেনের ছেলে শফিকুল হোসেন এবং অপর দু’জন আসামি পলাতক রয়েছে।
টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয় নিয়াজ মোর্শেদ। যা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকতা। হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে নিয়াজ মোর্শেদ প্রতিপক্ষ গ্রুপের এক সদস্যের কাছে ১২ শ টাকা পেত। ওই টাকাকে কেন্দ্র করে তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ হয়। বিরোধের একপর্যায়ে তাকে হত্যা করা হয়। এজাহারনামীয় আট জন ও তদন্তে প্রকাশ আরও দু’জনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ওই দু’জন পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটের দিকে বয়রা ক্রস রোড দেবাশিষের সেলুনে যায়। সেলুনের কাজ শেষ করে নিয়াজ সোয়া ৮ টার দিকে ওই এলাকার রুবির দোকানের সামনে পৌছালে সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া দেয়। এ সময় সে জনৈক মোঃ সোহরাব হোসেন খাঁনের বাড়িতে পালিয়েও রক্ষা পায়নি। সন্ত্রাসীরা তার দেহের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। নিহতের বড় ভাই আট জন আসামির নাম উল্লেখ সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৭।
তবে মামলার বাদী মোঃ শামীম জানান, ভাই হত্যাকান্ডের বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম। তাকে ও পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ নিয়ে তিনি খুলনা গেজেটের কাছে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এএ