করোনার প্রভাবে প্রায় দেড় বছর ধরে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকার পর পুনরায় অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে গত পাঁচ বছরে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯২৪ জন পর্যটকের কাছ থেকে ৪ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৩০১ টাকা রাজস্ব আয় হয়।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের একাংশ নিয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ গঠিত। বিগত পাঁচ বছরে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে (খুলনা-সাতক্ষীরা) মোট ৩ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ জন দেশী পর্যটক এবং ১ হাজার ২শ’ ১৪ জন বিদেশী পর্যটক সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ভ্রমণে আসেন। এসব পর্যটকের কাছ থেকে রাজস্ব আয় হয় ৪ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৩০১ টাকা।
আরও জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৬২৭২২ জন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৭১২১৪ জন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৭০২৮০ জন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৬৫১৪২ জন ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৬২৩৫২ জন দেশী পর্যটক সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে ভ্রমণে আসেন।
এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ১৬৮ জন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩২৭ জন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৮৫ জন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪৪৩ জন ও ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৯১ জন বিদেশী পর্যটক সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগে ভ্রমণে আসেন।
গেল বছরের মার্চ মাসে দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। একপর্যায়ে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এ বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আবু সালেহ এ প্রতিবেদককে জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে পুনরায় পর্যটক প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবে এখনও বিদেশী কোন পর্যটক আসেননি।
খুলনা গেজেট/এএ