Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২২শে আগস্ট, ২০২৫ । ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

খুলনায় অবশেষে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট

নাফি ইসলাম

বহুকাঙ্খিত ই-পাসপোর্ট অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে খুলনায়। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ই-পাসপোর্ট চালু করতে বিলম্ব হলেও সরকারের নির্দেশে খুব দ্রুতই খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে এটি চালু হতে যাচ্ছে। ১৯ আগষ্ট বিকেলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, করোনার শুরুর পর থেকে পাসপোর্ট অফিস কিছুদিন বন্ধ ছিল। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ধীরগতি আসে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশে অফিস খোলা হলেও নতুন আবেদন ও সংশোধন বন্ধ ছিল। তবে কোন পরিবর্তন ছাড়াই চালু ছিল নবায়ন কার্যক্রম।

সম্প্রতি বিভাগীয় অফিসে নেওয়া শুরু হয়েছে আবেদনপত্র। তবে সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নতুন আবেদনপত্র সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, অসুস্থ এবং বিদেশযাত্রীদের জন্য প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে।

এক্ষেত্রেও রয়েছে নানান শর্ত। নতুন আবেদনকারীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি আবেদনপত্রের সাথেই আরও একটি সাদা কাগজে লিখিত বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আরও একটি আবেদনপত্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট কতৃপক্ষকে জানাতে হবে কেন পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন এবং সংশ্লিষ্ট কারণের জন্য দিতে হবে গ্রহণযোগ্য কাগজপত্র।

আগামীতে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশ মিললে উন্মুক্ত করা হবে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য নতুন আবেদনপত্র গ্রহণ কার্যক্রম। সেসময় হয়ত এমন শর্ত নাও থাকতে পারে বলে দাবি কতৃপক্ষের। ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে জানা যায়, আগামী সেপ্টেম্বরে ট্রেনিংয়ে যাবে কর্মকর্তারা। তারপরই শুরু হবে কার্যক্রম।

খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম খান প্রতিবেদককে জানান, সরকারি নির্দেশে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আগেই হয়ে যেত। তবে করোনার কারণে সেটা কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আশাকরি সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর মাসে খুলনার মানুষ ই-পাসপোর্টের সেবা নিতে পারবে।

ই-পাসপোর্ট
২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট প্রদানের ঘোষণা দেন। ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হবে। ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকবে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।

ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশও। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিং। ই-পাসপোর্ট একবারে ১০ বছরের জন্য দেয়া হবে।

খুলনা গেজেট/নাফি/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন