বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ নামে আঘাত হানবে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাতের আশঙ্কা খুবই কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ নামটি পাকিস্তানের দেয়া, যার ইংরেজি নাম রোজ; বাংলায় যার অর্থ গোলাপ ফুল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘গুলাব’ ঘূর্ণিঝড় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িশ্যায় আগামীকাল রোববার বিকেল নাগাদ আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশে এটির আসার আশঙ্কা খুবই কম। তবে তার প্রভাবে উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে।’
রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শনিবার বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি রোববারও হবে জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘ঢাকায় শনিবার ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি নিম্নচাপের প্রভাবেই হয়েছে। ‘গুলাবের’ কারণে এখনও ভারী বর্ষন হয়নি কোথাও। সমুদ্রবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। তবে গতিবিধি অনুযায়ী পরে সংকেত দেয়া হতে পারে।’’
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি শনিবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ শনিবার পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে রোববার দক্ষিণ ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া তেলেঙ্গনা, চত্তিশগড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ বেশি। মাছ ধরার ট্রলারকে সোমবার পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই