পাইকগাছায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশত ছোটবড় মৎস্য ঘের। অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অমাবস্যার অস্বাভাবিক জোয়ারে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সোলাদানার বয়ারঝাপার ভাঙ্গাহাড়িয়ার ওয়াপদার বাঁধটি ভেঙ্গে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধায়নে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে বাঁধ মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৩নং পোল্ডারের উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বয়ারঝাঁপা এলাকায় ভাঙ্গাহাড়িয়া নামক স্থানে পানি সরবরাহের জন্য বাঁধের ওপর বেসরকারি সংস্থা কারিতাস একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করে। উক্ত গেটের স্থানের বাঁধটি দূর্বল হয়ে দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ইতোপূর্বে একাধিকবার ছোট-খাটো মেরামতও করা হয়। বাঁধটি ভেঙ্গে যে কোন মুহূর্তে এলাকা প্লাবিত হতে পরে এমন আশংকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বাঁধ মেরামতের জন্য সম্প্রতি টেন্ডারও আহবান করেছে। এদিকে মেরামত কাজ শুরু করার আগেই অমাবস্যার জোয়ারের পানির চাপে বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে কয়েক শত ছোট বড় মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের জন্য অনেক আগেই আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তবে অমাবস্যার প্রভাবের কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যে বুধবার সকালে বাঁধের ৩০ ফুট এলাকা ভেঙ্গে গেলে পোল্ডার অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি নিজেই প্লাবিত এলাকায় যাই এবং উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধায়নে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি প্রাথমিকভাবে মেরামত করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে বাঁধের টেকসই মেরামত কাজ শুরু করা হবে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ