সাতক্ষীরায় এই প্রথম করোনা সংক্রমণের হার শুন্যতে নেমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৭৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে কোন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়নি। করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ১৭ (সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৬৭১ জন।
করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ধুলিহার গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৬) ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার নৈকাটি গ্রামের মৃত মধূ ফকিরের ছেলে মোজহার আলী ফকির (৭০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে তারা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ সেপ্টেম্বর তারা মারা যান।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত মোট ৭৫ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৭৪ জন সাসপেক্টেড। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১১ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা উপসর্গে মারা গেছে ২ জন। তবে এ সময় ৭৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা সনাক্ত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮২১ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৪১৯ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৩১৪ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৯ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৩০৫ জন। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১ জন। জেলায় ২৪ আগষ্ট পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৬৭১ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, গত ২৪ আগষ্ট পর্যন্ত জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮০ হাজার ৬১ জন। এদিকে সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৩ হাজার ৭৮২ জন।
খুলনা গেজেট/এনএম