দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার মোঃ শামীম মোড়েলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও গ্যারেজে ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরার তথ্য সংরক্ষণের একটি ডিভিআর ডিভাইস উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আসামি আরাফতের নিকট থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও তার দেখানে স্থান থেকে ডিভিআর ডিভাইস উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ নিহতের পরিবারের কাছ লাশ হস্তান্তর করে। আছর নামাজ বাদ স্থানীয় একটি কবরখানায় তার লাশ দাফন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানান, চার্জিং পয়েন্টের ম্যানেজার মোঃ শামীমের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে অভিযান শুরু করা হয়। প্রাথামিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্যারেজ মালিকসহ মোট ১৩ জনকে থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পূর্বের ম্যানেজার আরাফত হত্যাকান্ডের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করে। সে অনেক কথা স্বীকার করেছে তা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আরাফতের বাড়ি থেকে নিহতের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন ও ঘটনার সময় খোয়া যাওয়া নগদ ২৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর আরাফতের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ময়ূর নদীর পানির ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা গ্যারেজের ফুটেজ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ডিভিআর ডিভাইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কী কারণে শামীমকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশ এখনও পরিস্কার ধারণা দিতে পারেনি। তবে রাতের মধ্যে হত্যাকান্ডের মূল কারণ উদ্ধার হবে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
এদিকে দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। শামীমের লাশ বাড়ি নেওয়ার পরিবারের সদস্যদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। আছরের নামাজের পর নিহতের লাশ স্থানীয় একটি কবরখানায় দাফন করা হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই