জাতীয় জুনিয়র এ্যাথলেটিক্সে খুলনা বিভাগের হয়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সামিউল হক রামিম; মাঠ কাঁপানো ক্রীড়াবীদ। মহামারী করোনা পরিস্থিতির শুরুতে কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়া সামিউলকে আর্থিক সহযোগিতা করেছিলেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গত রবিবার ফুটবল খেলতে গিয়ে পা ভেঙেছে তার। টানা তিনদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৯ আগস্ট) হাসপাতাল থেকে মুক্তি মিললেও নিজের পায়ের দাঁড়াতে পারছেন না এ্যাথলেটিক্স সামিউল। বড় একটি অপারেশন প্রয়োজন তার পায়ে। ফলে দুঃসময় পিছু ছাড়ছে এ তরুণ ক্রীড়াবীদের।
গত রবিবার খুলনা মহানগরীর পথেরবাজারে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলতে যান সামিউল। ম্যাচের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষকের সাথে সরাসরি ধাক্কা লাগে এই স্টাইকারের। এসময়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। ব্যাথা বাড়তে থাকলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে নেয়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক্স বিভাগে।
সামিউলের বন্ধু ও সতীর্থ খেলোয়াড় আদিব রায়হান এ প্রতিবেদককে জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন তার পান পা ভেঙে গেছে। এ জন্য দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। অপরারেশনের আগের চিকিৎসা দিয়ে আপাতত তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে দ্রুত অপারেশন না করা গেলে পা ঠিক নাও হতে পারে। এখন সে দিঘলিয়ার নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছে।’
আদিব আরও জানান, সামিউল তার পরিবারকে নিয়ে এমনিতেই খুব অসহায় অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন, যেটা দেয়ার সামার্থ্য নেই তার পরিবারের। এ কারণে ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, ৬ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সামিউল। এ্যাথলেটিক্সে ভালো করায় চাকরি হয়েছিল বিজেএমসসিতে। কিন্তু এবছরের শুরুতে সে চাকরিও চলে যায় তার। বিভিন্ন স্থানে ক্ষ্যাপে ফুটবল খেলাই তার আয়ের প্রধান উৎস।
খুলনা গেজেট/এআইএন