গাছে ফুল ফুটেছে। আগাম ফল ধরবে। আগাম ফলের মূল্য বেশী। তাই চাষিরা ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ফোটা টমেটো’র ফুল এ উপজেলার চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
টমেটো শীতকালীন ফসল। সে জন্য আগাম টমেটো চাষে রয়েছে নানা বিড়ম্বনা। সঠিক ভাবে ক্ষেতের পরিচর্যা না করলে চাষিদের চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এমনটাই জানালেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী পশ্চিমপাড়া গ্রামের টমেটো চাষি সুশান্ত বিশ্বাস (৪০)।
এ গ্রামের টমেটো চাষি কালা ঘরামি, সুবাস বিশ্বাস, ভূবন বিশ্বাস ও বিশ্ব রায়সহ অনেকে জানান, উপজেলার টমেটো ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, ফরিদপুর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়। প্রতিবছর এখানে কয়েক লাখ টন টমেটো উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন বাইরের পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে ট্রাক ভরে কিনে নিয়ে যান টমেটো। আগাম টমেটোতে ভাল দাম পাওয়া যায়। তাই আগাম টমেটো ফলাতে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমও করতে হয়। তবুও তারা এ আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখেন।
বোয়ালিয়া গ্রামের টমেটো চাষিরা জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত বেশীর কারণে টমেটো গাছ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। টমেটো চাষে ক্ষতি হলে এ উপজেলার চাষিদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙে যাবে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস বলেন, ‘এ বছর উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে চক্র, পানপাতা, মিন্টু সুপার, লাভলী, হাইটম ও বিউটিসহ বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত এ এলাকায় শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। তাই আগাম চাষের জন্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেদিকটা বিবেচনা করে কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বিক ভাবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।’
খুলনা গেজেট/ এস আই