‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’নামক সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করার কথা জানিয়ে প্রায় ২শ’ গ্রাহকের ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ অভিযোগে পুলিশ বেলাল (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করলেও মুল হোতাকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি রায়পাড়া মেইনরোড আজমখানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল কাদের খানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন মাসে বেল্লাল ও মিনা বেগম মুসলমান পাড়া ও বাঁশতলা এলাকার ২ শ’জন মহিলাকে ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ নামক সংস্থা থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করার কথা বলে ফরাজীপাড়া, খুলনা শাখায় প্রত্যেককে হিসাব খুলতে পরামর্শ দেয়। ওই এলাকার মহিলারা তাদের দু’জনের কথা মতো সেখানে বই করেন। প্রত্যেকটি হিসাবে নয় হাজার ৬শ’ টাকা অনুদান আসার পর একাউন্ট হোল্ডাররা টাকা তুলতে যায়। পুনরায় অন্য একটি অনুদানের কথা বলে সদস্যদের মাত্র ১৮ শ’ টাকা দিয়ে বাকী টাকা ওই দু’প্রতারক রেখে দেয়।
গত ৩০ আগস্ট ওই সংস্থার সদস্য ও বাঁশতলা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বেগম, সালমা ইসলাম স্বপ্না, জোৎস্না বেগম ও হালিমা আক্তার নদী সহ আরও অনেকে ময়লাপোতা মোড়স্থ অগ্রণী ব্যাংকে অনুদানের টাকা তুলতে যান। ওই দু’প্রতারক তাদের নিকট টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে। সেখানে বলা হয় আগামী মাসে ৪০ হাজার টাকা অনুদান আসবে, যে সকল সদস্য টাকা দিবে না তখন তাদের নাম ওই অনুদানের তালিকায় দেওয়া হবে না। সদস্যরা মুসলমানপাড়া এলাকার স্থানীয় মোঃ জাকির হোসেনকে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের কাছে জানতে গেলে সেখানেও ওই ব্যক্তির সামনে সদস্যদের হুমকি প্রদান করে প্র্রতারকরা।
এ ব্যাপারে মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে খুলনা থানায় প্রতারক মিনা বেগম ও বেল্লাল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও তিন চার জনের বিরুদ্ধে ৮ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন। আসামি বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুল হোতা মিনা বেগমকে এখনও আটক করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই মোল্লা জুয়েল রানা জানান, সহযোগি হিসেবে আসামি বেলাল হোসেন এখান থেকে কিছু টাকা আত্মসাৎ করেছে। মূল প্রতারক মিনা বেগমকে আটক করা যায়নি। তকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলেই সব ঘটনা পরিস্কার হবে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই