অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। কমবে অপরাধ প্রবণতা। এ জন্য উপজেলা সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ ৩০ স্থানে বসানো হলো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এতে খুশি সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। ক্যামেরা ও মনিটর সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন থানার কর্তব্যরত (ডিউটি) অফিসার। আর এ গুলো স্থাপনের ব্যয়ভার বহন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সূধি সমাজের ব্যাক্তিরা। আমরা শুধুমাত্র উদ্যোগ নিয়েছি। বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এমনটাই বললেন বাগেরহাটের চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই সিসিটিভি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধ দমন ও অপরাধী চক্রকে শনাক্ত করতে সহয়তা করবে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে চুরির মতো যে ঘটনাগুলো ঘটে এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখে চোরদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। নাইট ভিশন এই ক্যামেরা গুলো অত্যাধুনিক। ক্যামেরার সাথে রয়েছে ভয়েজ রেকর্ডার। এলইডি লাইট। যা রাতের বেলায়ও ৮০ মিটার দুর থেকে ছবি ও ভিডিও তুলতে সক্ষম।
এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম মীর বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এতে বাজারের চুরিসহ নানা অব্যবস্থাপনা রোধ ও নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে।
স্কুল শিক্ষক মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, এতে শুধু চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই আর সহিংসতা নয়, স্কুল-কলেজ গামী ছাত্রী ও বাজারে আসা নারীদেরও নিরাপত্তা বাড়াবে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেবাশিষ বিশ্বাস বলেন, আগে দেখেছি কোন এলাকায় সামন্য কিছু ঘটলেই স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী কয়েকটি বংশের লোকেরা তাঁদের ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে দলবল নিয়ে বাজারে এসে মহড়া দিয়েছেন। লাঠিসোটা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ করেছেন। এতে ক্ষতি হয়েছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের। ওসি সাহেবের এ উদ্যোগে এটি মনে হয় সারা জীবনের জন্য বন্ধ হলো। আমরা তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
খুলনা গেজেট/ টি আই