তের বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে সে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ এর বিচারক আলিফ রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সে উক্ত এলাকার শেখ সাকেব আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মানিক রূপসা উপজেলার বাগমারা এলারকার জনৈক জুয়েলের মুদি দোকানের কর্মচারী। গত শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকার কুদ্দুসের বাড়ির ভাড়াটিয়া নাহার বেগমের ১৩ বছরের কিশোরী মালামাল ক্রয় করতে যায়। নামাজের সময় হওয়ায় রাস্তায় লোকজন কম থাকার সুযোগে দোকান কর্মচারী মানিক ভিকটিমকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই দোকানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। অপর আসামি মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। বাড়ি ফিরে না আসায় কিশোরীর মা দোকানে আসে। সেখানে মেয়েকে কান্না করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনাটি মায়ের কাছে খুলে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে দু’জনের নামে মামলা করেন, যার নং ৫। ধর্ষণের পর মানিক পালিয়ে যায়। পরে র্যাবের সহযোগিতায় রূপসা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপসা থানার এসআই কামরুল হোসেন জানান, দোকান কর্মচারী পালিয়ে রামপাল চলে যায়। র্যাবের সহযোগিতায় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তবে অপর আসামি এনামুলকে এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
খুলনা গেজেট/এএ