খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫, আহত ১০
  মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
করোনা প্রাদুর্ভাবেও থেমে নেই সেবা

খুলনার রেলওয়ে ডিসপেনসারীতে বেড চালুর দাবি

নাফি ইসলাম

বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত খুলনাস্থ সকল ষ্টাফদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ‘রেলওয়ে ডিসপেনসারী’। নগরীর সদর থানাধীন নিক্সন মার্কেটের পাশে এবং আধুনিক রেলষ্টেশনের নিকটস্থ রেলওয়েরে নিজস্ব জমিতে এই সেবা কেন্দ্রে করোনার প্রাদুর্ভাবে থেমে নেই সেবা কার্যক্রম। প্রতি মাসে গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার ষ্টাফ এখান থেকে সেবা নিচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ষ্টাফদের যে কোন রোগের প্রাথমিক সেবা দিতে ‘রেলওয়ে ডিসপেনসারীর’ জন্য নিয়োজিত আছে ২জন ডাক্তার,২জন ওয়ার্ড বয়, ১জন ফার্মাসিষ্ট এবং ৪জন ক্লিনার। তবে এর মধ্যে ডা: মোছা: শারমিন সুলতানা শার্লি বর্তমানে করোনা পজেটিভ রয়েছেন।
ডিসপেনসারীতে সেবা নিতে আসা সুফিয়া বেগম জানান, তার হাত ভেঙে গেছে। এই করোনার সময় বেশির ভাগ ডাক্তাররা যেখানে সেবা দিতে রাজি নয়। সেখানে এখানকার চিকিৎসকরা খুবই আন্তরিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ডাক্তারের সাথে আলাপ করা যায়। ডাক্তাররা আন্তরিক হওয়ায় সময় নিয়ে তাদের সাথে কথা বলা যায়।

 

 

হালিমা খাতুন নামের আরেক মহিলা জানান, তার দুই ছেলে রেলওয়েতে চাকুরি করেন। সেই সুবাদে তিনি এখান থেকে মেডিকেল বই করেছেন। তার সব ধরনের সেবা নিতে তিনি এখানে আসেন। প্রাথমিক ওষুধগুলো ডিসপেনসারী থেকে ফ্রি পাওয়া যায়। তবে তিনি বলেন, এখানে যদি কয়েকটি বেডের ব্যবস্থা করা হত তাহলে রোগীদের অন্য হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হত না।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, রেলওয়ের নিজস্ব জমিতে এই ডিসপেনসারীটি যুগের পর যুগ সেবা দিয়ে আসছে। একটা সময় এখানে কয়েকটি বেড ছিল। কিন্তু কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বেডের রুমগুলো এখন ফাঁকা রয়েছে। তাছাড়া নতুন ভবন বা বেড করার মত পর্যাপ্ত জায়গাও রয়েছে ডিসপেনসারীতে। পাকশীতে ৫০ বেডের সুবিধা রয়েছে বলেও সূত্র জানায়।

 

 

ডিসপেনসারীর সহকারী সার্জন ডা: লায়লা ইয়াসমিন খুলনা গেজেটকে জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে রেলের সকল ষ্টাফদের সেবা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তার একজন কলিগ করোনা পজেটিভ। তারপরও প্রাথমিক সেবা দেওয়া বন্ধ নেই। প্রতিদিন অন্তত ৫০/৬০জন রোগী এখানে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সেবা নিতে আসে। সরকারের নির্ধারিত ওষুধ রোগীদের প্রয়োজনে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। বেডের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হবে। তবে এখানে স্বল্প পরিসরে বেড পরিচালনার মত ব্যবস্থা আছে বলে তিনি জানান।

 

খুলনা গেজেট/ নাফি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!