ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিফা রেফারি, সহকারি-রেফারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় আজ (শনিবার)। সেই পরীক্ষায় বাংলাদেশের একমাত্র নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা উত্তীর্ণ হয়েছেন। পুরুষ রেফারিদের মধ্যে শুধুমাত্র বিটুরাজ বড়ুয়া পাশ করেছেন। সঙ্গে সহকারি রেফারি সাতজন পাশ করেছেন।
জয়া চাকমা কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতে ফিটনেস টেস্ট দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় তিনি পাশ করতে পারেননি। ওই পরীক্ষায় পাশ করলে এএফসি’র এলিটের পাশাপাশি আগামী বছরের জন্য ফিফাও হয়ে যেতেন সাবেক জাতীয় এই নারী ফুটবলার। সেই পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় ফিফা ব্যাজ ধরে রাখতে ভারত থেকে দেশে এসে পরীক্ষা দিয়েছেন জয়া।
আজ ফিটনেস টেস্টের তিন পর্বেই দারুণভাবে উতরে গেছেন এই ফিফা রেফারি। ভারতে দুই পর্বে উতরালেও চক্করে গিয়ে ফেল করেছিলেন। ফিফা রেফারি হতে হলে ন্যূনতম দশটি চক্কর দিতে হয়। আজ নির্ধারিত দশ চক্কর ঠিক সময়মতো পূরণ করেছেন জয়া। ভারতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে নিজেকে আরো প্রস্তুত করেছেন।
জয়ার প্রত্যাবর্তনে বেশ উচ্ছ্বসিত বাফুফের হেড অব রেফারিজ আজাদ রহমান, ‘সে দারুণ কামব্যাক করেছে। ভারতে সে কাঙ্ক্ষিত মানের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে নিজের ফিটনেস লেবেলকে উন্নতি করে আজ সুন্দরভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে।’
আজ যারা ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হলেন তারা আগামী বছর ফিফা রেফারি, সহকারি-রেফারির জন্য বিবেচিত হবেন। বাফুফে উত্তীর্ণদের নাম ফিফায় পাঠাবে। ফিফার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিললে তারা ফিফা ব্যাজধারী হবেন। বাংলাদেশে পুরুষ রেফারিদের ফিফা কোটা পাঁচটি। আজ শুধুমাত্র একজন পাশ করেছেন। বাকি চারজনের কোটা পূরণের জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ না হতে পারলে ফিফা রেফারির বাকি কোটাগুলো শূন্যই থাকবে।
ফিফা সহকারি রেফারি কোটা সাতটি। আজই সেই কোটা পূরণ হয়েছে। ফিফা সহকারি হিসেবে ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়েছেন মনির ঢালী, সুজয় বড়ুয়া, শফিকুল ইসলাম ইমন, নুরজ্জামান, শরিফুজ্জামান টিপু, ইকবাল হোসেন ও জুনায়েদ শরীফ। ফিফা রেফারি, সহকারি-রেফারির মেয়াদ এক বছর।