খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

ই-অরেঞ্জের অন্যতম মালিক পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা বিএসএফের হাতে আটক

গেজেট ডেস্ক

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের কথিত মালিক এবং বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা শনিবার তাকে আটক করে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিএসএফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানানো হয়নি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো তথ্য পাইনি। তবে আমরা শুনেছি সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন।’

সোহেল রানা শুক্রবার থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি গতকাল থেকে অফিস করছেন না। কোথায় আছেন এবং তার সর্বশেষ অবস্থান আমাদের জানা নেই।’

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার তদন্ত চলছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধান তিন আসামি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।

সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব ধরনের পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন।

রাসেলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত কয়েক মাসে সোহেল রানা ই-অরেঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তার অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। অরেঞ্জ বাংলাদেশের বিনিয়োগ রয়েছে বেশ কিছু ব্যবসায়িক খাতে।

গোয়েন্দা বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘শেখ সোহেল রানা আর তার বোন মেহজাবিন মিলে গ্রাহকদের টাকা অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনেছেন, বিদেশের কিছু টাকা গিয়েছে বলেও আমরা তথ্য পেয়েছি।’




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!