প্রায় পাঁচ মাস পর আবারও যেন প্রাণ ফিরে পেলো খুলনার সার্কিট হাউস মাঠ। ক্ষুদে খেলোয়াড়দের আগমন, ব্যাট-বলের ঠুকঠাক আওয়াজ, যেন সেই চিরচেনা মাঠ। করোনা পরিস্থিতি সামলে খুলনার খেলাধুলার প্রাণ কেন্দ্র সার্কিট হাউস মাঠ বরণ করে নিলো ক্ষুদে ক্রিকেটারদের। সুনসান নীরব স্টেডিয়াম মুখরিত হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শর্ত স্বাপেক্ষে ঘরোয়া খেলাধুলা শুরুর অনুমোদন দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ ঘোষণার পরেই ক্রীড়া একাডেমীগুলো তাদের কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ দিন থেকে একে একে শুরু হতে থাকে বিভিন্ন একাডেমীর কার্যক্রম।
শুধু সার্কিট হাউস মাঠই নয়, নগরীর বিভিন্ন মাঠেই এখন খেলোয়াড়দের সরগরম। সোমবার খুলনা সার্কিট হাউস অন্তত ২০টি একাডেমীর কার্যক্রম দেখা যায়। কিছু কিছু একাডেমী এখনও অনুশীলন শুরু না করলেও আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু করতে পারে বলে জানা গেছে। অধিকাংশ একাডেমী গুলোই স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের দেয়া শর্ত মেনে অনুশীলন করতে দেখা যায়।
পাঁচ মাসেরও বেশী সময় পরে মাঠে ফিরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন একাডেমীর ক্ষুদে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়রা। যদিও টানা বৃষ্টিতে তাদের অনুশীলন কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হয়।
খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে নিয়মিত অনুশীলন কার্যক্রম চালায় অন্তত ২০ টি একাডেমী। যার অধিকাংশই শুরু করে দিয়েছে তাদের কার্যক্রম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খুলনা ক্রিকেট একাডেমী, আবাহনী ক্রিকেট একাডেমী, মোহামেডান ক্রিকেট একাডেমী, স্কুল অব ক্রিকেট, জর্জি মেমোরিয়াল, স্টার স্পোর্টস ক্রিকেট একডেমী, বেসিক ক্রিকেট একাডেমী, ইয়ং ট্যালেন্ট ক্রিকেট একাডেমী, এজাজ ফুটবল একাডেমী।
খুলনা ক্রিকেট একাডেমীর পরিচালক আজিজুর রহমান জুয়েল বলেন, আমরা মাঠের মানুষ। মাঠ ছাড়া আমাদের ভালো লাগে না। এতদিন পর মাঠে ফিরতে পেরে আমরা দারুণ খুশী। সবথেকে বড় কথা আমাদের থেকেও বেশী খুশী একাডেমীর ক্ষুদে ক্রিকেটাররা। তাদের উচ্ছাসটাই আমাদের ভালো লাগার কারণ। সরকারের দেয়া সব নিয়ম নীতি মেনেই একাডেমীর কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, সব ক্রিকেটারকে আলাদা পানির বোতল ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি আমরা মেনে অনুশীলন শুরু করেছি। সব ক্রিকেটারদের থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করেই মাঠে আসার সুযোগ পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে বন্ধ হয়ে যায় খুলনার সব একাডেমীর কার্যক্রম।
খুলনা গেজেট/এএমআর