জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদের নিয়ে নোংরা কথা বলা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ।
শনিবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্যই জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সমাধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন।
দুদিন আগে এক দলীয় সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জিয়া কোথায় যুদ্ধ করেছেন সেই প্রমাণ নেই বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই বলেও মন্তব্য করেন।
রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, তাদের এসব কথা বলার মানে হচ্ছে তারা কিছু ইস্যু তৈরি করছে।
আর তারা যে রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে গেছে এটাই বড় প্রমাণ। মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নয়, সমগ্র দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলাগুলোকে আবার সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার নীল নকশা। দু’বছর পরে যে জাতীয় নির্বাচন তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চক্রান্ত হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা কিংবা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণে নয়, বরং আন্দোলন ঠেকানোর জন্য তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এনএম