বাগেরহাটে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট যাদুঘরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করে। সারাদিনই দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল । ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে আসতে পেরে খুশি তারা।
ষাটগম্বুজে ঘুরতে আসানা আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ খুব কাছে হলেও ব্যস্ততার কারণে আসতে পারি না। শুক্রবার হওয়ায় স্ত্রী, সন্তান নিয়ে এসেছি। সন্তানরা খুবই আনন্দ পেয়েছে এখানে এসে।
নুরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ষাটগম্বুজ মসজিদের ভিতর এত বেশি সুসজ্জিত যে বাচ্চারা আসলে আর যেতে চায় না। প্রশস্ত হাটার পথ, নিরিবিলি পরিবেশ, শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড সব মিলিয়ে খুবই মনমুগ্ধকর পরিবেশ। সময় পেলেই এখানে চলে আসি।
ষাটগম্বুজ মসজিদে প্রবেশের টিকেট বিক্রেতা আবু তালেব বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার টিকিট বিক্রি করেছি। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আরও শতাধিক টিকিট বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য দিনের থেকে ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভীড় একটু বেশি থাকে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ষাটগম্বুজ মসজিদ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকে বিপুল পরিমান দর্শনার্থীরা আসছেন। আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনও সচেষ্ট রয়েছে। এ জন্য প্রবেশদ্বারে মাস্ক দেওয়া রয়েছে। কেউ যদি মাস্ক পড়ে না আসেন, তাদেরকে মাস্ক পরিধান করে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পরে ১৯ আগস্ট বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের সকল বিনোদন কেন্দ্র দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রতিদিন ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ভীড় থাকে। ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভীড় আরও বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হেলাল উদ্দিন।
খুলনা গেজেট/কেএম