পাবনা সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্কুলছাত্রীর স্বজনরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টায় তার মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, পরিবারের লোকজন মেয়েটির পেটে ব্যথা, বিষাক্ত কিছু খেয়েছে এমন বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। মৃত্যুর পর ধর্ষণের কথা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যু ওই স্কুলছাত্রীর স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর দশম শ্রেণির ছাত্র।
নিহত স্কুলছাত্রীর মা ও মামা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে ওই কিশোর আমাদের মেয়েকে নানাভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ কারণে ওই স্কুলছাত্রীকে নানার বাড়িতে রেখে লেখাপড়া করানো হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই স্কুলছাত্রী। আজ দুপুরে স্কুলছাত্রীর মা পাটের আঁশ ছড়াতে যান, আর বাবা শ্রমিকের কাজ করতে যান। এ সময় মেয়েটি বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ওই কিশোর তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মা বাড়িতে ফিরে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমরা হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে কাগজপত্র অনুযায়ী পরিবারের লোকজন মেয়েটির পেটে ব্যথা ও বিষাক্ত জাতীয় কিছু খেয়েছে বলে সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি করে। চিকিৎসকরাও তার পেট ওয়াশ করেন। ভর্তির সময় তাঁরা পুলিশ কেস হিসেবেও উল্লেখ করে নাই বা পুলিশকে কিছু জানায়নি। এখন মেয়েটি মারা যাওয়ার পর মেয়েকে ধর্ষণের কথা প্রকাশ করছে।’
ওসি আমিনুল বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের অভিযোগসহ অন্য বিষয় মাথায় রেখে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে নাকি বিষাক্ত কিছু খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’