খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড
  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে
উৎপাদন ভাল হওয়ায় বেসরকারি জুটমিলে সংকট নেই

খুলনাঞ্চলের কাঁচা পাটের বড় বাজার এখন পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আম্ফানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে এ মৌসুমে উৎপাদন বেশী হওয়ায় কাঁচা পাটের কৃত্রিম সংকট নেই। বেসরকারি পাটকলগুলোতে কাঁচা মালের জোগান স্বাভাবিক হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় এবারের মূল্য অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনার মধ্যেও চার দেশে মোংলা বন্দর দিয়ে পাট রপ্তানি হয়েছে। এবারে কাঁচা পাটের সবথেকে বড় বাজার পাকিস্তান।

গেল বছরের আম্ফানের ধাক্কায় দক্ষিণাঞ্চলের পাটে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। সরকারি মিল বন্ধ থাকলেও বেসরকারি পাটকলের চাহিদা বেড়ে যায়। কৃত্রিম সংকটের কারণে বেসরকারি পাটকলগুলো উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে পারেনি। গত মে মাসে ঈদের পর খুলনাঞ্চলের ১৭টি বেসরকারি পাটকল বন্ধ ছিলো। পাট উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় গেল মৌসুমে প্রতিমন পাট ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। এবারে প্রকারভেদে তা ২৮ শ’ থেকে ৩২ শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যশোর, সাতক্ষীরা ও ফরিদপুর থেকে খুলনার দৌলতপুর মোকামে প্রতিদিনিই পাট আসছে।

পাট অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, এ মৌসুমের খুলনা জেলায় ৩৩ হাজার ৭৫০ বেল, বাগেরহাট জেলায় ২২ হাজার ৭২৫ বেল এবং সাতক্ষীরা জেলায় ২ লাখ ১০ হাজার বেল পাট উৎপাদন হয়। সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা, খোর্দ্দ, পারুলিয়া, পাটকেলঘাটা ও তালা মোকামে পাটের জমজমাট ব্যবসা।

পাট অধিদপ্তরের খুলনাস্থ মুখ্য পরিদর্শক সরোজিত সরকার জানান, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোংলা বন্দর দিয়ে ১৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের একলাখ ৭৫ হাজার ২শ’ বেল পাট রপ্তানী হয়। সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে ৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা মূল্যের ৮১ হাজার ২৫৬ বেল পাট রপ্তানী হয়।

সহকারি পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, ৩০টি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বেলজিয়াম, পাকিস্তান, চীন ও আইভোরি কোস্টে মোংলা বন্দর দিয়ে পাট রপ্তানী করে। সবচেয়ে বেশী পাট রপ্তানী হয়েছে পাকিস্তানে। ভারতের পাটকলগুলোর অধিকাংশের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, এবারে স্থানীয় বাজারে কৃত্রিম সংকটের সম্ভাবনা নেই। সারা বছরই বেসরকারি পাটকলগুলো কাঁচামালের জোগান পাবে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!