তালেবান শাসনে আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে না। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেছেন তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন সদস্য। তালেবানের সিদ্ধান্ত প্রণয়নকারীদের ঘনিষ্ঠ সদস্য ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেছেন, ‘এখানে কোনোরকম গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকবে না। কারণ আমাদের দেশে এর কোনো ভিত নেই। আফগানিস্তানে কী ধরনের রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা থাকবে এ নিয়ে আমরা আলোচনা করব না। কারণ এটা পরিষ্কার। আফগানিস্তান চলবে শরিয়া আইনে। সেটাই শেষ কথা।’
হাশিমি আরো বলেন, তালেবোনের সুপ্রিম নেতা হিবাতুল্লাহ আকুন্দযাদা দেশের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন বলে আমরা মনে করছি।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা হরণের অভিযোগ
এ দিকে ফেসবুকে তালেবান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপেও তাদের সমর্থনে কোনো পোস্ট থাকতে পারবে না। সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার পর তালেবান পরিচালিত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো একে একে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা রোধের অভিযোগ আনল তালেবান।
ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাকস্বাধীনতা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেন, প্রশ্নটি তাদের করা উচিত, যারা নিজেদের বাকস্বাধীনতার পথপ্রদর্শক দাবি করে। অথচ সব তথ্য প্রকাশ করতে দেয় না… ফেসবুক কোম্পানি।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন আইন মেনে তালেবানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে ফেসবুক।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কর্মী দল আফগান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসাথে তারা বলেছে, ফেসবুক কোনো দেশের সরকারকে স্বীকৃতি দেয় না। বরং এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য আন্তর্জাতিক কমিউনিটির ওপর নির্ভর করে।
খুলনা গেজেট/কেএম