তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা নারীদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন। মুখপাত্রটি বলেন, নারীদেরকে একা বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হবে, এবং তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগও বহাল থাকবে।
মনে করা হচ্ছে, তালেবানকে নিয়ে সারাবিশ্বে যে উদ্বেগ রয়েছে তা অবসানের জন্যই এ বিবৃতি।
তবে ইতোমধ্যে তালেবানে দখলে চলে যাওয়া কান্দাহার থেকে খবর পাওয়া গেছে যে সেখানে ব্যাংকে কর্মরত নারীদের বলা হয়েছে, এখন থেকে তাদের জায়গায় কাজ করবে পুরুষ আত্মীয়রা। আফগানিস্তানের অন্য জায়গা থেকেও মেয়েদের বাইরে যেতে না দেয়ার এবং বোরকা পরতে বাধ্য করার খবর এসেছে।
রোববার টোলো নিউজ নামে আফগান বার্তা সংস্থার প্রধান লোৎফুল্লাহ নাজাফিজাদা একটি ছবি টুইট করেছেন – যাতে দেখা যাচ্ছে যে কাবুলের একটি দেয়ালে থাকা মেয়েদের ছবি সাদা রঙ দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন একজন লোক।
তালেবান মুখপাত্র আরো বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমকে অবাধে সমালোচনা করতে দেয়া হবে, তবে তারা ‘চরিত্র হননে’ লিপ্ত হতে পারবে না।
এদিকে তালেবান তাদের যোদ্ধাদের কাবুল শহরে ঢোকার আদেশ দিয়েছে। তাদের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন,কাবুলে লুটপাট ঠেকানোর জন্যই এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন যেহেতু সরকারি বাহিনী শহরের বিভিন্ন অংশ ও তাদের চেকপয়েন্টগুলো ছেড়ে চলে গেছে–তাই বিশৃঙ্খলা ও লুটপাট ঠেকানোর জন্য তালেবান বাহিনী শহরে ঢুকছে।
এর আগে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ত্যাগ করেছেন বলে আফগান কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে খবর আসে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
খুলনা গেজেট/এএ