কাবুলের ক্ষমতা দখল করার পরেই সেখানকার প্রধান জেলখানার দরজা খুলে দিল তালিবান। সেখানে বন্দি তালিবান যোদ্ধাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাবুলের প্রায় সব সরকারি ভবনের মাথায় উড়ছে তালিবানের পতাকা।
কাবুলের বগরম বিমান ঘাঁটিতে অবস্থিত বগরম কারাগারের দরজা খুলে দিয়েছে তালিবান। এই বগরম কারাগারের দখল ছিল আমেরিকার সেনাবাহিনীর হাতে। কিন্তু আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে গত ১ জুলাই আফগান সেনাকে সেই জেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এর আগে কন্দহর থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের যে যে শহরের দখল তালিবান নিয়েছে সেই সেই শহরের জেল থেকে বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কাবুলের দখল নেওয়ার পরে ইতিমধ্যেই প্রায় সব সরকারি ভবন খালি হয়ে গিয়েছে। সেই সব ভবনের মাথায় উড়ছে তালিবানের পতাকা। গোটা শহর জুড়ে ক্ষমতা বদলের ছবি স্পষ্ট। রাজপথের দখল নিয়েছে তালিবান। চলছে উল্লাস।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানাচ্ছে, তালেবানের দাপটে কাবুলের বাসিন্দাদের মধ্যে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল তা অনেকাংশে কেটে গেছে। সবাই যার যার বাড়িতে অবস্থান করছেন। রাস্তায় এখন তেমন কোনো যানবাহন দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গিয়ে সমঝোতা করেছেন তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর।
এদিকে তালেবানের শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বানের পর জার্মানিতে নিযুক্ত দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত আলী আহমদ জালালিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে আফগান গণমাধ্যমের খবরে জানানো হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, তালেবানের যোদ্ধারা আগেই দেশটির প্রেসিডেন্ট প্যালেসে পৌঁছেছেন। সরকারের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে যান তারা।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা
এদিকে কিছুক্ষণ আগে টুইটারে দোহায় অবস্থানরত তালেবান মুখপাত্র সুহায়েল শাহীনের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তানে যারা এর আগে আগ্রাসনকারীদের জন্য কাজ করেছে বা তাদের সাহায্য করেছে, অথবা এখন যারা দুর্নীতিবাজ কাবুল প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসীন রয়েছে – তাদের সবার জন্য ইসলামিক আমিরাত দরজা খোলা রেখেছে এবং ক্ষমা ঘোষণা করেছে। আমরা আরেকবার তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, যেন তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসেন।”
খুরনা গেজেট/এএ